রাকিব রিফাত,ইবি প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের জানালায় নিম্নমানের গ্লাস ব্যবহারের ফলে দুই মাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে পড়ছে গ্লাস গুলো। ফলে সামান্য বাতাস, ঝাঁকুনি ও রোদ্রের তাপে জানালার গ্লাস গুলো ফেটে পড়ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, নিম্নমানের গ্লাস ব্যবহারে গ্লাস গুলো ফেটে যাচ্ছে। অথচ তারা এটি মেরামতে একই নিম্নমানের গ্লাস ব্যবহার করছে। নিম্ন মানের গ্লাসের পরিবর্তে ভালো মানের গ্লাস ব্যবহারের জোর দাবি জানান তারা।
সরজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবন ছিল তৃতীয় তলা পর্যন্ত। পরবর্তীতে চতুর্থ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে চতুর্থ তলার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই জানালার গ্লাস গুলো ফেটে পড়ছে। ফেটে যাওয়া গ্লাসগুলো মেরামতের জন্য পুনরায় নিম্নমানের গ্লাস ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানকার কর্মরত শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন বলেন, ক্লাস শেষে জানালা বন্ধ না করার কারণে বাতাসের চাপ ও রোদ্রের তাপে গ্লাস গুলি ফেটে যাচ্ছে। আরো বলেন, আমরা সাধারণ শ্রমিক আমাদের যা দিয়ে কাজ করতে দিবে আমরা তা দিয়েই করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ভবনটির গ্লাস ও রংয়ের ঠিকাদারি পেয়েছেন রুপালী কন্সট্রাকশন। যেখানে জানালার কাজে দুই মিলি গ্লাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি দেশীয় কোম্পানি নাসির গ্রুপের পণ্য। তিন মিলির গ্লাস দেশের বাজারে না পাওয়ায় দুই মিলির গ্লাস দিয়েই কাজ চলছে।
এছাড়াও একই ভবনের ১ম, ২য় ও ৩য় তলায় ব্যবহৃত গ্লাস গুলো ছিল তিন মিলির যার তুলনায় বর্তমানে নির্মাণরত ৪র্থ তলার গ্লাসগুলো নিম্নমানের। এছাড়াও আরও জানা যায় জানালায় ব্যবহৃত গ্লাস গুলোর মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন মানের গ্লাস।
রুপালী কন্সট্রাকশনের ইবি ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা লাভুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) এ.কে.এম নাসিমুল ইসলাম জানান, ফেটে যাওয়া গ্লাস গুলো আমরা পুনঃরায় মেরামতের কাজ করছি। আর নিম্নমানের গ্লাস ব্যবহারের বিষয়টি আমরা দেখছি। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ভবনটির বাজেট অনেকদিন আগে হওয়ার কারণে বর্তমান গ্লাসের দামের সাথে তারতম্য রয়েছে। এক্ষেত্রে ঠিকাদার পূর্বের বাজেট অনুযায়ী গ্লাস ব্যবহার করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, বিষয়টি জেনেছি, নিম্ন মানের গ্লাস কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, এ ধরণের ঘটনায় ঘটে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।